বিপ্লব করছেন করুন রাজনীতির মঞ্চে দেখা হবে : হুঁশিয়ারী সাংসদ কল‍্যাণ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর

28th November 2020 7:49 pm হুগলী
বিপ্লব করছেন করুন রাজনীতির মঞ্চে দেখা হবে : হুঁশিয়ারী সাংসদ কল‍্যাণ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : রিষরায় হয়ে গেল উত্তরপাড়া শ্রীরামপুর ব্লকের কর্মী সম্মেলন।নতুন কমিটি গঠনের পর নতুন ব্লক সভাপতি নিখিল চক্রবর্তীর কাছে প্রথম সম্মেলন ছিল চ্যালেঞ্জের।কিন্তু তাতে স্বমহিমায় উতরে গেলেন ব্লক সভাপতি নিখিল চক্রবর্তী। রিষড়া মোল্লাবেরে তৃনমূলের সমাবেশ থেকে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বললেন, সিবিআই এর হাত থেকে বাঁচতে আরো অনেকেই যাবে কিচ্ছু এসে যায় না।কেউ কেউ দু বছর আগেই কমিটমেন্ট করে রেখেছে নির্বাচনের আগে চলে আসব। যাবে আরো অনেকেই যাবে।দিলীপ ঘোষেরা তো বলতো তৃণমূল নারোদা সারদা রোজভ্যালি তে অভিযুক্ত। যেসব নেতারা ওদের যোগদান মেলার প্রথম সারিতে।শুভেন্দুর নাম না করে বলেন, যারা বিপ্লব করছেন বিপ্লব করুন যারা বলেছিলেন রাজনীতির মঞ্চে দেখা হবে,যারা চান রাজনীতির ময়দানে দেখা হবে সেইদিন বেশি দেরী নেই। মে মাস ২০২১ প্রমান হয়ে যাবে কে কত বড় বীর।শ্রীরামপুরের তৃনমূল সাংসদ আরও বলেন আমরা দিদির সৈনিক।শ্রীরামপুরে কোনো দাদা দিদি নেই।মানুষ বিশ্বাস করে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ২০২১ এ ২০০ সিট নিয়ে ক্ষমতায় আসবে।যারা দিনে তৃনমূল সন্ধায় দাদা দিদি করবে দলের মধ্যে থেকে তাদের ক্ষমা করবেন না।বিশ্বাস ঘাতকতা যারা করবে তাদের জবাব দেবেন।সারা শ্রীরামপুরে একটাই ফ্লেক্স থালকে আমরা দিদির সৈনিক অন্য কোনো ফ্লেক্স মানব না।অধীর চৌধুরী বলছেন তৃনমূলের অন্তর্জলী যাত্রা হচ্ছে। আমি বলি অধীর বাবু আপনি যেদিন থেকে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হলেন সেদিন সারা ভারতে কংগ্রেসের অন্তর্জলী যাত্রা দেখে নিয়েছেন।ওকে কেউ মানে না।কেরলের কং এমপিরা এসে আমাকে ডাকে।পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সবচেয়ে বড় এজেন্ট অধীর চৌধুরী।আমি জানি উনি আমাকে আবার গালাগাল করবেন ওনার যেমন সংস্কৃতি তেমন শব্দ চয়ন করে শব্দ প্রয়োগ করবেন করবেন।কিন্তুটা সত্য।পার্লামেন্টে পিছন দরজা দিয়ে কতবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান।কতবার চিরকুট পাঠিয়ে বিজেপি এমপি দের দিয়ে কতবার তৃনমূল মমতার বিরুদ্ধে বলিয়েছেন সেতো আমার চোখের সামনে।মুর্শিদাবাদের মাটিতে মির্জাফরের জন্ম হয়েছে আবার মুর্শিদাবাদের মাটিতে অধীর চৌধুরীর জন্ম হয়েছে। রাজ্যপাল বলছেন সুন্দর করে অবাধ নির্বাচন করতে চাই।তাই আমার বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগ আনা হচ্ছে। রাজ্যপাল আপনি যেটা করছেন আগামী দিনে বিজেপির এজেন্ডা ফিলআপ করার জন্য বিজেপিকে জয়ী করার জন্য রিগিং করার পদক্ষেপ নিচ্ছেন।সব ক্রমিনাল গুন্ডাদের নিয়ে।শুনুন জগদীপ ধনকর যদি ৩৫৬ করেন তাহলে কলকাতার রাস্তায় আপনার গাড়ি চলবে না।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।